বামহাতি মানুষ সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য এবং ঐতিহাসিক কুসংস্কার
বামহাতি মানুষ সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য এবং ঐতিহাসিক কুসংস্কার
হ্যালো সবাই! 😊
আজ আমি বামহাতি মানুষদের সম্পর্কে একটি চমৎকার গল্প শেয়ার করতে চাই।
আপনি কি বামহাতি সম্পর্কে কিছু জানেন?
তাদের সংখ্যা কম হলেও, তারা কিন্তু বিশেষ ও অনন্য!
আজ আমরা তাদের ইতিহাস, কুসংস্কার এবং বিশেষ শক্তি সম্পর্কে জানবো।
বামহাতির সংখ্যা এত কম কেন?
মানব ইতিহাসে মাত্র ১০% লোক বামহাতি, যা গবেষকদের কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে বাঁ ও ডানহাতি হওয়ার হার প্রায় সমান, কিন্তু মানুষের মধ্যে এটি ভিন্ন।
অনেক শিশুকে ছোটবেলা থেকে ডানহাত ব্যবহারে বাধ্য করা হয়, যার ফলে প্রকৃত বামহাতির সংখ্যা কমে যায়।
বামহাতিদের জন্য একটি বিশেষ দিন আছে?
হ্যাঁ! ১৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক বামহাতি দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।
এই দিনটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বামহাতিদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করার জন্য।
ইতিহাসে, বামহাতিরা অনেক কুসংস্কার ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাই এই দিনটি তাদের স্বীকৃতি ও সম্মানের প্রতীক।
একজন ফরাসি গবেষক পিয়ের-মিশেল বার্ট্রান্ড বামহাতিদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং বাঁ ও ডান দিকের প্রতীকী অর্থ নিয়ে পিএইচডি গবেষণা করেছেন।
বিশ্বে বামহাতির সংখ্যা কত?
বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০% লোক বামহাতি, অর্থাৎ প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন।
এই হার লিঙ্গ বা জাতিগোষ্ঠী নির্বিশেষে প্রায় একই থাকে এবং প্রাচীনকালেও একই রকম ছিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, বংশগত কারণ বামহাতি হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রাচীন যুগের ফসিল ও পাথরের সরঞ্জাম বিশ্লেষণ করেও গবেষকরা মানুষের হাত ব্যবহারের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
বামহাতি মানুষদের প্রতি ঐতিহাসিক কুসংস্কার
বিজ্ঞান অনুসারে, মস্তিষ্কের বাম অংশ ভাষা ও বিশ্লেষণাত্মক চিন্তার জন্য দায়ী, যা অধিকাংশ মানুষের ডানহাতি হওয়ার কারণ হতে পারে।
অনেক সংস্কৃতিতে, ডান দিক শুভ ও সৌভাগ্যের প্রতীক, আর বাঁ দিককে দুর্ভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়।
ধর্মীয় গ্রন্থ ও ঐতিহাসিক নথিতে বাম হাতের নেতিবাচক অর্থে উল্লেখ রয়েছে, যা মানুষের চিন্তায় কুসংস্কার তৈরি করেছে।
প্রাচীনকালে, কিছু সমাজে বামহাতি মানুষদের শাস্তি দেওয়া হতো, এমনকি তাদের ডান হাত কেটে ফেলা হতো!
যদিও কিছু বিখ্যাত শিল্পী ও বিজ্ঞানী বামহাতি ছিলেন, তবুও সমাজে তাদের নেতিবাচকভাবে দেখা হতো।
বামহাতিদের প্রতি বৈষম্যের ইতিহাস
২০ শতকের শুরুতে, মনোবিজ্ঞানীরা বামহাতিদের মানসিক রোগীর মতো দেখতেন এবং তাদের সংখ্যা মাত্র ২.৮% বলে দাবি করেছিলেন।
কিছু অপরাধবিজ্ঞান গবেষণায় দেখা গেছে, বন্দিদের মধ্যে ১৯.৩% ছিলেন বামহাতি, যা সমাজে তাদের বিরুদ্ধে আরও নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছিল।
প্রাচীন সমাজে, শিক্ষার অভাবে নিম্নবিত্তদের মধ্যে বামহাতির সংখ্যা বেশি ছিল, যা তাদের আরও বৈষম্যের মুখে ফেলেছিল।
শিক্ষাব্যবস্থার প্রসারের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের জোর করে ডানহাতি বানানো হতো, যার ফলে অনেক বামহাতি মানুষ তাদের প্রকৃত হাতের ব্যবহার করতে পারতেন না।
বামহাতিরা কি বিশেষ সুবিধা পায়?
কিছু ক্ষেত্রে, বামহাতি হওয়া সুবিধাজনক হতে পারে।
যুদ্ধের সময়, অধিকাংশ সেনারা ডান হাতে অস্ত্র চালাতে অভ্যস্ত, ফলে বামহাতি সৈন্যদের প্রতি আক্রমণ করা কঠিন হয়।
এছাড়া, গবেষণায় দেখা গেছে যে বামহাতিরা সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী চিন্তায় পারদর্শী।
বামহাতিরা শুধু একটি ছোট গোষ্ঠী নয়, তারা বিশেষ প্রতিভা ও দক্ষতার অধিকারী!
আমরা যদি পুরনো কুসংস্কার ভুলে যাই, তবে তাদের শক্তি ও প্রতিভাকে আরও ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারব।
আপনার আশেপাশে যদি কোনো বামহাতি বন্ধু থাকে, তাহলে তাদের সম্পর্কে নতুন করে ভাবুন!
আজকের এই তথ্য যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করুন!
শীঘ্রই আরও আকর্ষণীয় বিষয় নিয়ে ফিরে আসব! 😃
Editor - 떼수산